বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের সঙ্গে আমাদের বয়সীদের প্রথম পরিচয় পাঠ্যবইয়ে পড়া সরস গল্প ‘রসগোল্লা’ দিয়ে। গল্পের দুটি বিষয় মুগ্ধ করেছিল; প্রথমত, ইমিগ্রেশন অফিসারের বঙ্গীয়করণ—চুঙ্গিওয়ালা। আর ট্রাভেলব্যাগের শরীরে ‘জাতবেজাতের হোটেলের লেবেল’। কচি মনে ভ্রমণের একটা মায়া স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল হাসির ছলে।
বিছানার পাশে সোফায় হেলান দিয়ে টিভি দেখছিলেন বাবা। হঠাৎ তার সামনে লম্বালম্বি করে সাইকেলটি রাখল নিধি। : বাবা, শক্ত করে ধরে রাখো। : কেন? : আ রে ধরো না। না ধরলে কিন্তু তোমার অনেক লস হয়ে যাবে। কথা শুনে বাবার তো আক্কেল গুড়ুম।
একটি অন্ধ ভিখারি রোজ মন্দিরে পূজা করতে যায়। প্রতিদিন ভক্তিভরে পূজা শেষ করে মন্দিরের দরজায় প্রণাম করে সে ফিরে আসে; মন্দিরের পুরোহিত সেটা ভাল করে লক্ষ্য করে দেখেন। এইভাবে কত বৎসর কেটে গেছে কেউ জানে না। একদিন পুরোহিত ভিখারিকে ডেকে বললেন, “দেখ হে! দেবতা তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। তুমি কোন একটা বর চাও। ক
প্রায় চৌদ্দ বছর আগে মিরপুর বিহারি কলোনিতে আবু সুফিয়ান নামে প্রায় সত্তর বছর বয়সী একজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। ঢাকায় বসবাসকারী উর্দুভাষী মানুষদের নিয়ে একটি গবেষণাকর্মে সহযোগিতার কাজ করছিলাম তখন। আবু সুফিয়ানের বাড়ি ছিল পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায়।
‘শত কথার শত গল্প’ সংকলনে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন, দন্ত্যস রওশন, পল্লব মোহাইমেন, খায়রুল বাবুই, স্বদেশ রায়, অঞ্জন আচার্য, অর্ণব সান্যাল, তরুণ চক্রবর্তী, তাসনুভা অরিন, অনন্য যারিফ আকন্দ, অর্চনা রাণী সাহা, আবেদা সুলতানাসহ দুই বাংলার ১০০ জন লেখকের লেখা গল্প রয়েছে।
এই যে শুনছ? কে বড় পালোয়ান, বলো তো। বলতে পারছ না তো? আরে পারবে কী করে? তুমি তো এখনো সে বই পড়োইনি। বলি শোনো, ‘ঠাকুমার ঝুলি’র বাইরেও অনেক বড় একটা গল্পের
তিতিয়া এক ছোট্ট গাঙশালিক। গাঙশালিক চিনেছ তো! পাখি। সে নদীর পাড়ে খাড়া ঢালে বাসা বানিয়ে দাঁড়াশ সাপের কবল থেকে রক্ষা পেতে অন্য গাঙশালিকদের বুদ্ধি দেয়।
কথা বলা রোবট বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া খুদে বিজ্ঞানী রবিনের সঙ্গে পরিচয় হয় অন্তুর। ইট-পাথরের যান্ত্রিক নগরীর চার দেয়ালে বন্দী মা-হারা অন্তু মেঘের রাজ্যে মাকে খুঁজে বেড়ায়! এই দুজনের সঙ্গে একে একে দেখা হবে প্রাণীপ্রেমী প্রিয়ন্তী, শীতার্তদের পাশে হাত বাড়িয়ে দেওয়া আর্য ও তার বন্ধুদের। এরপর শুরু হয় তাদের অ
সালটা ১৯৭১। আর একাত্তর মানেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস আর বীরত্বের ইতিহাস। দাদু, নানুর মুখে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের কথা আমাদের শোনা আছে। অনেকটাই জানা। কিন্তু নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের যুদ্ধের গল্প কতটা জানি বলো তো?
পড়াশোনা করতে করতে মাঝে মাঝে ক্লান্ত হয়ে যাও, তাই না? টেবিলে বই খোলা রেখে তোমার নিশ্চয় কল্পনায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে সবকিছু ফেলে যদি অজানা কোথাও হারিয়ে যাওয়া যেত! যদি জঙ্গলে চলে যাওয়া যেত! যদি ট্রাক বা গাড়ির ড্রাইভার হওয়া যেত! বাড়ি থেকে পালিয়ে যদি দূরে কোথাও হারিয়ে যাওয়া যেত! তাহলে পড়াশোনা
‘কোরিয়ার গল্প’ বইয়ের আলোচনার জন্য কোরিয়ার ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ লেখক মাজেদা মুজিব। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান লিটারেচার ট্রান্সলেশন ইনস্টিটিউট থেকে এই পুরস্কার পান তিনি।
টোকাইয়ের কথা মনে আছে? ওই যে চেক লুঙ্গি পরা আর কাঁধে বিশাল বস্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটি? তার আশপাশে ঘুরে বেড়ায় কালো কাকেরা। চিনতে পারছ না বুঝি?
খুলেছে স্কুল। অনেক অনেক বই পড়তে আর বাড়ির কাজ করতে হচ্ছে এখন। একই সঙ্গে থাকতে হবে তরতাজা, চনমনে। করতে হবে আনন্দ। পড়ার ফাঁকে খুঁজে নিতে হবে একটু স্বস্তি। সে জন্যই তোমাদের পরিচিত হতে হবে জর্জ বেয়ার্ড ও হ্যারল্ড হাচিন্সের সঙ্গে।
মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নিয়ে অনেক ধরনের বই পাওয়া যায়। ইতিহাস ও গবেষণার বই যেমন আছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন আছে গল্প, কবিতা বা উপন্যাসও। ‘একাত্তরের মিলিটারি ভূত’ নামের বইটি একটি উপন্যাস।
রাসেলের খুব ভালো বন্ধু দুলাল। সে স্কুলের বাইরে বাদাম বিক্রি করে। রাসেল প্রতিদিন টিফিনের সময় দুলালের জন্য দুটি শিঙাড়া নিয়ে আসে আর গল্প করে। এভাবে গল্প করতে করতে একদিন তারা রমনাপার্কে ঘুড়ি ওড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। আমি আর কিছু বলব না। বাকি কাহিনি জানতে হলে দারুণ এ গল্পটি পড়তে হবে।
এই যে খুদে বই পড়ুয়ারা, রঙিন ছবির বই পেলে খুব তো ভালো লাগে, তাই না? একটুখানি পড়ে অনেকক্ষণ ধরে পৃষ্ঠাজুড়ে আঁকা ছবির খুঁটিনাটি দেখা যায়। এমন বই ভালো না লেগে উপায় আছে, বলো? তাই তো খবর নিয়ে আসা তোমাদের কাছে।
ভালো বন্ধু জীবনে খুব প্রয়োজন। একজন ভালো বন্ধু তোমাকে অনেক সাহায্য করবে। ভালোবাসবে। বন্ধুরা পাশে থাকলে জীবন অনেক সহজ মনে হয়।